সিমকার্ড ও ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই মোবাইলে চলবে ভিডিও! শুনতে যতই অবিশ্বাস্য মনে হোক, শীঘ্রই এটা বাস্তবে ঘটতে চলেছে! এমনই দাবি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্রর। একটি ব্রডকাস্টিং সংক্রান্ত সম্মেলনে একথাই বলতে শোনা গেল তাঁকে। সিমকার্ড ছাড়া মোবাইলে ভিডিও দেখতে D2M Technology ব্যবহার করা হবে। বিষয়টি সম্পূর্ণ জানার জন্য প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? অপূর্ব জানাচ্ছেন, ডি টু এম অর্থাৎ ‘ডাইরেক্ট টু মোবাইল’ প্রযুক্তি (D2M Technology) নিয়ে বহুদিন ধরেই গবেষণা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরু, কর্তব্য পথ ও নয়ডায় পরীক্ষামূলক ভাবে পাইলট প্রোজেক্ট চালানো হচ্ছে। কেন এমন পরিকল্পনা? তিনি জানাচ্ছেন, দেশে ৮০ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৬৯ শতাংশই মূলত ভিডিও কনটেন্ট দেখেন।
D2M Technology ব্যবহারের সুবিধা
ডি টু এম প্রযুক্তির (D2M Technology) ব্যবহার শুরু হলে ২৫-৩০ শতাংশ ট্র্যাফিক সেদিকে যাবে। ফলে ৫জি নেটওয়ার্কের ‘বোঝা’ কমবে আগামিদিনে। পরিকল্পনা রয়েছে ১৯টি শহরে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের। অপূর্ব জানাচ্ছেন, এর ফলে মোবাইল নেটওয়ার্কের উপর থেকে চাপ কমবে। ফলে ভিডিও বাফারিং হওয়াও বন্ধ হবে। আরও উন্নত মানের পরিষেবা পাবেন গ্রাহকরা। সাংখ্য ল্যাবস ও আইআইটি কানপুর যুগ্মভাবে এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
সাংখ্য ল্যাবস এবং আইআইটি কানপুর এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে। টেলিকমিউনিকেশন পরিকাঠামো এবং পাবলিক ব্রডকাস্টারদের স্পেকট্রাম ব্যবহার করে ডিটুএম সম্প্রচার প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিয়ো, অডিয়ো এবং ডেটা সিগন্যাল সরাসরি মোবাইল এবং স্মার্ট ডিভাইসগুলিতে পাঠায়। এই প্রযুক্তিতে মসৃণভাবে ১০০ কোটিরও বেশি মোবাইল ডিভাইসে সিগনাল সম্প্রচার করা যাবে। সেই সঙ্গে ডেটা ট্রান্সমিশন বা তথ্য পাঠানোর খরচও অনেকটাই কমবে বলে, মনে করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশব্যাপী জরুরি সতর্কতাও পাঠানো হতে পারে।
দেশে ৮০ কোটি মানুষের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। এই সকল স্মার্টফোন ইউজাররা যে যে কনটেন্ট ব্যবহার করেন, তার ৬৯ শতাংশই হল ভিডিয়ো। ভিডিয়োর এই অত্যধিক ব্যবহারের ফলে মোবাইল নেটওয়ার্কগুলির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। নেটওয়ার্কগুলি আটকে যায়। যার ফলে কনটেন্টে বাফারিং হয়। অর্থাৎ, ভিডিয়ো আটকে গিয়ে মাঝখানে একটি গোল চিহ্ন ঘুরতে থাকে। এই সমস্যা দূর করবে ডিটুএম প্রযুক্তি বলে মনে করা হচ্ছে। এই ধরনের এক্সক্লুসিভ খবর সবার আগে পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন। এবং খবরটি পড়ে উপকৃত হলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সকলের সঙ্গে শেয়ার করুন।